স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত এগারোটা নাগাদ গ্রামের মাঠে বোরো ধান চাষ করেছিলেন তিনি। সেই জমিতেই সেচের জল দিতে গিয়েছিলেন। তখন আচমকা হাতি এসে তার উপর হামলা চালায়। শুঁড়ে তুলে আছাড় মারে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। এরপরই গোটা এলাকা জুড়ে হাতির হামলার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় তাঁর পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দারা।লক্ষ্মী দাসের মৃত্যুতে তাঁর পরিবারের প্রত্যেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন ।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় সাঁকরাইল থানার পুলিশ ও বন দফতরের কর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে রবিবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য ঝাড়গ্রাম মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। বিষয়টি বন দফতরকে জানানো হয়েছে। বনদফতরের তরফ থেকে মৃতের পরিবারকে সরকারি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা ওই তিনটি হাতিকে জঙ্গলে ফেরত পাঠানোর আবেদন জানিয়েছেন।