JJM NEWS DESK : হাওড়ার আমতায় ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুতে এখনও ধোঁয়াশা। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের দাবি, শুক্রবার রাতে আনিসের বাড়িতে পুলিশ আসেনি। যদিও আনিসের বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে। একটি মামলায় আদালত থেকে ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে সমন জারি হয়। পুলিশ খতিয়ে দেখছে, কারও সঙ্গে আনিসের ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল কিনা।
মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে ফরেন্সিক দলকে ডাকা হচ্ছে। অন্যদিকে, ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুর প্রতিবাদে আজ রাজ্যজুড়ে এসএফআই-এর বিক্ষোভ কর্মসূচি রয়েছে। এদিন সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আমতা থানার পুলিশ। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন আমজনতা। তাদের দাবি দ্রুত দোষীদের গ্রেফতার করা হোক। একই সঙ্গে পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয় আনিস খানের মৃত্যুর ৩০ ঘণ্টা পর কেন পৌঁছল পুলিশ ?কেন এত সময় পেরিয়ে যাবার পর ঘোরা হল না সেই জায়গা ?
আনিস খানের মৃত্যুর পর উত্তাল হয়ে ওঠে হাওড়া। আইএসএফ ছাত্র নেতার মৃত্যুতে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বাম কর্মী সমর্থকরা। ২২শে ফেব্রুয়ারি মহাকরণ অভিযানের ডাক দিয়েছে এসএফআই।এদিকে একাধিক প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শুক্রবার গভীর রাতে পুলিশের পোশাকে কারা এসেছিল ?কোথায় গেল আনিসের মোবাইল ফোন ?কেন এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত শাসকদলের তরফ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হলো না সে প্রশ্নও তুলেছেন তারা। প্রসঙ্গত আমতা থানার সারদা দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা আনিস খান। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র হিসেবে এলাকায় পরিচিত সে। শুক্রবার গভীররাতে চোখের সামনে ছেলেকে খুন হতে দেখেন আনিসের বাবা। আনিসের বন্ধুমহলে তরফ এ দাবি করা হয়েছে বেশ কয়েকদিন ধরেই আনিসকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। চিঠি লিখে পুলিশকে সে কথা জানায় আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেতা। তার পরেও কেন নিষ্ক্রিয় ছিল পুলিশ সে প্রশ্নই এখন বারবার ঘুরপাক খাচ্ছে।