JJM NEWS DESK : পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ফুলচক গ্রামের বাসিন্দা অসীম মণ্ডল পড়াশোনায় ছিলেন অত্যন্ত তুখোড় । আশির দশকে জেলার গড়বেতা কলেজে পড়াশোনা করতে করতেই যুক্ত হয় রাজনীতির সঙ্গে । পরে পিপলস ওয়ারস গ্রুপ ও জনযুদ্ধ গোষ্ঠীর সংগঠন বৃদ্ধির কাজের সূত্রে অসীম মণ্ডল ‘আকাশ’ উপাধি পায় ।পিপলস ওয়ারস গ্রুপ (PWG) ও জনযুদ্ধ গোষ্ঠীর সংগঠন বৃদ্ধির কাজের সূত্রে অসীম মণ্ডলের নাম হয় (আকাশ) সেই মাওবাদী নেতা আকাশের চন্দ্রকোনার বাড়িতে ঝাড়খণ্ড পুলিশ।
হুলিয়া জারি করে মাওবাদী নেতা আকাশ ( অসীম মন্ডল) এর বাড়িতে আসলো ঝাড়খণ্ড পুলিশ।আজ ঝাড়খন্ডের জামশেদপুর জেলার পাটমদা থানার দুই পুলিশ কর্মী আদালতের নির্দেশে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা থানার ফুলচক গ্রামের মাওবাদী নেতা আকাশ ওরফে অসীম মন্ডল এর বাড়িতে যান
ঝাড়খন্ড পুলিশের দুই সদস্যের এক প্রতিনিধি দল।
এদিন তারা অসীম মন্ডল এর বাড়ি ও গ্রামের জনবহুল এলাকায় দুইটি নোটিশ জারি করেন, তাতে লেখা এক মাসের মধ্যে আকাশ আত্মসমর্পণ না করলে তার সম্পত্তি ক্রোপ করা হবে। এমনকি আকাশের খোঁজ দিতে পারলে ১ কোটি টাকা পুরস্কৃত করা হবে। জানা যায়, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা থানার ফুলচক গ্রামের বাসিন্দা অসীম মন্ডল লেখাপড়ায় মেধাবী ছাত্র ছিল ৮ এর দশকের প্রথম দিকে। গড়বেতা কলেজে অনার্স নিয়ে পড়াশোনা করত। আর সেই সময় লেখাপড়ার মাঝপথে রাজনীতিতে যুক্ত হয়। তার পরেই হঠাত্ করে আকাশ নিরুদ্দেশ হয়ে যায়।
সেসময় জনযুদ্ধ গোষ্ঠীর এক মহিলা সদস্য অণু মাইতি (ওরফে কল্পনা মাইতি)-কে বিয়ে করেন অসীম । ধাপে ধাপে চন্দ্রকোনার ফুলচক গ্রামের অসীম মণ্ডল হয়ে ওঠে মাওবাদীর একজন প্রথম সারির নেতা । তাঁর নেতৃত্বে মাওবাদী সক্রিয়তায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল জঙ্গলমহল । পরবর্তীকালে 2011 সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর মাওবাদীর প্রভাব অনেকটাই কমেছে । ফলে বিভিন্ন মাওবাদী নেতা আত্মসমর্পণ করেছেন, অনেকে আবার গা-ঢাকা দিয়েছেন ।
তাঁদের খোঁজেই ফের তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ । ধাপে ধাপে চন্দ্রকোনার ফুলচক গ্রামের আকাশ মাওবাদীর একজন প্রথম সারির নেতা হয়ে ওঠে। বর্তমানে আকাশ শুধু ঝাড়খন্ড নয় এই রাজ্যে একাধিক মামলার আসামী। আর সেই আকাশের খোঁজে যেমন ঝাড়খণ্ড পুলিশ তেমনি রাজ্য পুলিশও খোঁজ চালাচ্ছে।