JJM NEWS DESK : সাঁওতালি ভাষার সাহিত্যে অবদানের জন্য এবার পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হলেন ঝাড়গ্রামের সাঁওতালি ভাষার কবি-সাহিত্যিক কালীপদ সোরেন। তিনি খেরোয়াল সোরেন নামেই জনপ্রিয়। ২০০৭ সালে নাটক ‘চেৎরে চিকেয়েনা’র জন্য সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার এবং ২০১৯ সালে দিল্লি থেকে অনুবাদ পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি।
পদ্মশ্রী পুরস্কার পাচ্ছেন প্রখ্যাত নাট্যকার কালিপদ সরেন । কালিপদ সরেন ১৯৫৭ সালের ৯ই ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন ঝাড়গ্রাম জেলার বেলাটিকরি পোস্ট অফিস এর অন্তর্গত রঘুনাথপুরে। বর্তমানে তিনি ঝাড়গ্রাম শহরের বাসিন্দা। কালিপদ সরেন গোপালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করার পর পশ্চিম মেদিনীপুরের চাঁদড়া হাই স্কুলে ভর্তি হন ১৯৬৮ সালে। এরপর ১৯৭৮ সালে ভর্তি হন কাপগাড়ী সেবা ভারতী মহাবিদ্যালয়ে। তারপর ১৯৮৪ সালে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
নাট্যকার, সাহিত্যিক, কবি, গায়ক, অভিনেতা খেরওয়াল সরেন সাঁওতালি সাহিত্য জগতে অসামান্য অবদানের জন্য বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি সংগঠনের পক্ষ থেকে সম্বর্ধিত হয়েছেন এবং পুরস্কার পেয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সারা ভারত সাঁওতালি লেখক সংঘ, ঝাড়গ্রাম এর পক্ষ থেকে সম্বর্ধিত হন ১৯৯২ সালে । তিনি ২০০৭ সালে দিল্লি সাহিত্য একাডেমীর পুরস্কার পান। ‘কবি সারদা প্রসাদ কিস্কু স্মৃতি পুরস্কার-২০১২’ পান ২০১৩ সালে পশ্চিমবঙ্গ সাঁওতালি আকাদেমি, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে।
আরো পড়ুন :ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের ভারতীয় দল ঘোষণা, হ্যামস্ট্রিংয়ে চোটের সারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে অধিনায়ক হিসাবে প্রত্যাবর্তন রোহিত শর্মা
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনগ্রসর সম্প্রদায় কল্যাণ বিভাগের পক্ষ থেকে ‘গুণীজন সম্বর্ধনা’ পান ২০১৫ সালে। অল ইন্ডিয়া সান্তালি ফিল্ম অ্যাসোসিয়শন, জামশেদপুর, ঝাড়খন্ড এর পক্ষ থেকে ‘লাইভ টাইম এচিভমেন্ট এওয়ার্ড’ পান ২০১৫ সালে। ২০১৯ সালে দিল্লি সাহিত্য একাডেমীর পক্ষ থেকে অনুবাদ পুরস্কার পান। আজ ভারত সরকারের গৃহ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পদ্মশ্রী পুরস্কাররের জন্য কালিপদ সরেন এর নাম ঘোষণা করা হয় এবং এর খুশিতে ইতিমধ্যে সাঁওতালি সমাজ এবং সাঁওতালি সাহিত্য জগতের অসংখ্য শুভানুধ্যায়ীরা শুভেচ্ছা বার্তার বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন স্যোশাল মিডিয়ায়।
পদ্মশ্রী পুরস্কারের জন্য তাঁর নাম ঘোষিত হওয়ার অনুভূতি জিজ্ঞেস করলে কালিপদ সরেন জানান, “এই পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হওয়ায় আমি স্বাভাবিকভাবেই আনন্দিত । এই জয় সমগ্র জঙ্গলমহল, পশ্চিমবঙ্গবাসী তথা সমগ্র সাঁওতালি এবং আদিবাসী জগতের জয়।”
আরো পড়ূন :পার্টটাইম শিক্ষক সংগঠনের তরফ থেকে 26 জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস পালন ও নিজেদের দাবি আদায়ের জন্য দীর্ঘ মিছিল
উল্লেখ্য, ১৯৫৭ সালে রঘুনাথপুরে তাঁর জন্ম। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর। তাঁর সৃষ্টির মধ্যে ‘খেরওয়াল কো ডিশা কাটে’, বাহামনী, থারি ডাকারে মেট ডাক, সেরেঞ আকালারে খেরওয়াল বিশেষ উল্লেখযোগ্য। ত্রিমাসিক পত্রিকা ‘খেরওয়াল জাহের’-এর সম্পাদনাও করেন।
(সংগ্রহিত)