JJM NEW DESK : পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড় এলাকায় হদিশ মিলল অস্ত্র কারখানার।রাস্তার কাজের মাটির ব্যবহারের জন্য জেসিবি মেশিন দিয়ে মাটি কাটার সময় বুধবার মাটির ভেতর থেকে পলিথিনে মোড়া বেশ কয়েক বস্তা পুরনো বন্দুক ও কার্তুজ উদ্ধারের ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা ৩ নম্বর ব্লকের ৮ নম্বর নলবনা অঞ্চলের বড়ডাঙ্গা এলাকায়।
ওই এলাকায় মাটির রাস্তার কাজে শ্রমিকরা ফোন করে গোয়ালতোড় থানার পুলিশকে জানায় ।ওই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় গোয়ালতোড় থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ কয়েক বস্তা পুরানো বন্দুক ও কার্তুজ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। কোথা থেকে এত সংখ্যক বন্দুক ও কার্তুজ ওই এলাকায় এলো তার তদন্ত শুরু করেছে গোয়ালতোড় থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি গোয়ালতোড়ের বড়ডাঙা এলাকায় পঞ্চায়েতের রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়াও পাশের জমি সমান করা হচ্ছিল। বুধবার দুপুরে জেসিবি দিয়ে মাটি কাটার সময় দেখা যায় মাটির নীচে সাড়ি সাড়ি বালতি রাখা আছে। সেগুলি তুলতেই দেখা যায় সেখানে রয়েছে প্রচুর বন্দুক ও কার্তুজ। এরপরই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে এলাকা তল্লাশি করে সমস্ত অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে। এরপরই এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক চাপান উতোর। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করে, এই অস্ত্র ভাণ্ডার আসলে সিপিএম হার্মাদ বাহিনীর। বাম আমলে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখানোর জন্যই অস্ত্র মজুদ করা হয়েছিল। তবে সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষ এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাঁর পাল্টা দাবি, বন্দুক পরীক্ষা করলেই বোঝা যাবে এগুলি কত পুরোনো। তবে পুলিশ প্রশাসনের অনুমান, এগুলি মাওবাদী আমলের হতে পারে।