JJM NEWS DESK : বৃহস্পতিবার সকালে পাঁচ বছরের ছেলেকে টিউশন পড়াতে নিয়ে গিয়েছিলেন পিংলা থানার দনিচক এলাকার গৃহবধূ সুদেষ্ণা মাইতি। তারপর আর বাড়ি ফেরেননি। রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান। জানা যায়, মেদিনীপুরের বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।ওই ‘প্রেমিক’কে তিনি বিয়েও করেছেন। ঘটনার তিনদিন পর গৃহবধূকে উদ্ধার করল পুলিস। বাড়ি ফিরে সকলের সামনে ঘর ছাড়ার কারণ জানালেন গৃহবধূ।
এলাকার বাসিন্দা গোপাল মাইতি কর্মসূত্রে হাওড়াতে থাকেন। বাড়িতে থাকেন তাঁর স্ত্রী সুদেষ্ণা মাইতি এবং বছর পাঁচেকের এক ছেলে। দীর্ঘক্ষণ পর বাড়িতে না ফিরলে, তাঁকে ফোন করা হলে তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর বোনকে খুঁজে বের করতে সুদেষ্ণার দাদা শুভঙ্কর সামন্ত ফেসবুকে একটি পোস্টও করেন। আবার সুদেষ্ণার শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে পিংলা থানায় অভিযোগ দায়েরও করা হয়।
শুক্রবার দুপুরে বাবাকে সুদেষ্ণা জানান, ‘মেদিনীপুরের প্রেমিককে বিয়ে করছি’। তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার গৃহবধূ সুদেষ্ণা মাইতি ও তাঁর ছেলেকে গড়বেতা থানার কাদরা গ্রাম থেকে উদ্ধার করে তাঁর বাপের বাড়ির সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয় বলে জানান পিংলা থানার ওসি সুদীপ ঘোষাল। সুদেষ্ণার অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁর উপর অত্যাচার করত, তাই সেখানে ফিরতে নারাজ সে।
উল্লেখ্য,১৫ ডিসেম্বর বালির নিশ্চিন্দার ২ গৃহবধূ ৭ বছরের ছেলেকে নিয়ে শ্রীরামপুরে শপিংয়ে যাওয়ার নামে বেরিয়ে বেপাত্তা হয়ে যান। ৫ দিন পর তাঁদের খোঁজ মেলে। জানা যায়, বাড়িতে কাজ করতে আসা ২ রাজমিস্ত্রির সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠ’ সম্পর্কে জড়িয়ে তাদের সঙ্গে মুম্বই পালিয়ে গিয়েছেন ২ বউ। পরে অবশ্য তাঁরা ফিরে আসার সময় আসানসোল স্টেশনে ফাঁদ পেতে ৪ জনকে ধরে পুলিস। বালির এই ঘটনায় জোর শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যজুড়ে।