জোহার জঙ্গলমহল : পুজোর মরসুমে চাঁদার জুলুম রুখতে যে পুলিশ নিয়মিত ধরপাকড় চালায়, সেই পুলিশই রীতিমতো রসিদ ছাপিয়ে কালীপুজোর চাঁদা তুলছে। ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়িতে এমনই অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।জেলার প্রায় প্রতিটি থানাতেই কালীপুজো হয়। কিন্তু রসিদ ছাপিয়ে চাঁদা তোলা নজিরবিহীন বলে অনেক পুলিশ আধিকারিকই জানাচ্ছেন।
সূত্রে খবর পুলিশের ভয়ে মানুষ মুখ বুজে ১০১ টাকা থেকে ৫০১ টাকা চাঁদা দিচ্ছেন’। বেলপাহাড়ি থানা এলাকায় প্রতিটি দোকানে সাদা পোশাকে পুলিশ চাঁদা তুলেছে বলেও অভিযোগ।এক যুবক fফেসবুকে পোষ্ট করে এবং পরবর্তিকালে সেই লিখা মুছে ফেলে ‘১৪ বছরে বেলপাহাড়ি কোনওদিন দেখিনি পুজোর জন্য থানা থেকে চাঁদা তুলতে।
অথচ এই পুলিশই রাস্তায় চাঁদা তোলার বিরুদ্ধে কথা বলে। ঘটনাটি যে ‘বিরল’, তা জানাচ্ছে পুলিশ মহলই। সর্বনিম্ন চাঁদা ধার্য করা হয়েছে ১০১ টাকা। বেলপাহাড়ি থানার ওড়গোন্দা এলাকার একটি খাবারের দোকানের মালিক বলেন, ”যে অফিসার এসে চাঁদা নিয়ে গিয়েছেন, তাঁকে আমরা চিনি। পাশের এক দোকানদার জানিয়েছিল ৫১ টাকার বেশি চাঁদা দেওয়া মুশকিল। তারপর পুলিশ চাঁদা নেয়নি। উল্টে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।” বেলপাহাড়ি বাজার এলাকার এক দোকানদার বলেন, ”৭০০ টাকা চাঁদা কেটেছিল পুলিশ। ভয়ে দিয়ে দিয়েছি।
ঝাড়গ্রাম জেলার প্রত্যন্ত এলাকার বেলপাহাড়ি থানার এই ঘটনায় শোরগোল পড়েছে সমাজমাধ্যমে। চাঁদা না দিলো হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ । বেলপাহাড়ির এসডিপিও উত্তম গরাইয়ের কাছে স্থানীয় এক দোকানদার চাঁদা তোলার বিষয়ে মৌখিক ভাবে অভিযোগ জানিয়েছিলেন । জেলার ওই শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক জানান, ”গ্রামরক্ষী বাহিনীর নাম করে চাঁদা তোলা হয়েছে। এতে পুলিশের সম্পর্কে খারাপ বার্তা যাচ্ছে।”