পুর্ণচন্দ্র রক্ষিত: গত ৬-৭ই সেপ্টেম্বর কাশিপুরে ভারতের ছাত্র ফেডারেশনের ২০তম জেলা সম্মেলন কমরেড নরেন মুখার্জি ও কমরেড ফণীভূষণ মন্ডল নগরে সম্পন্ন হয়। এই সম্মেলনকে সামনে রেখে ইউনিট ও লোকাল সম্মেলনের মধ্য দিয়ে জেলার সর্বত্র গড়ে উঠেছে সংগঠন। সম্মেলনের সুধন্বা দরিপা মঞ্চে থেকে অবিলম্বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও ছাত্র-ছাত্রীদের টিকাকরণ নিশ্চিত করে সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে, শিক্ষা ও শিক্ষান্তে কাজের অধিকারকে সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে, শিক্ষাবিরোধী নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতি বাতিলের দাবিতে, অগণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল বাতিল করে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে, জেলার সমস্ত বন্ধ হয়ে যাওয়া আদিবাসী হোস্টেলগুলো খোলার দাবিতে, শিক্ষাখাতে সরকারি ব্যয়বরাদ্দ বাড়ানো ও করোনা পরিস্থিতি বিশেষ স্টিমুলাস প্যাকেজ ঘোষণার দাবিতে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি ও আসন সংখ্যা অনুপাতে শিক্ষক নিয়োগের দাবীতে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও কুড়মালির স্নাতকোত্তর বিভাগ খোলার দাবিতে আগামী দিনে তীব্রতর আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানায় এস.এফ.আই জেলা ও রাজ্য নেতৃত্ব।
এর পূর্বেও, ভারতের ছাত্র ফেডারেশন – পুরুলিয়া জেলা কমিটি পুরুলিয়ার ছাত্র-ছাত্রীদের সমস্যা এবং দাবি-দাওয়া সামনে রেখে একাধিক লড়াই আন্দোলন সংগঠিত করেছে। গতবছর জঙ্গী আন্দোলনের চাপে সারা বাংলায় সম্ভবত সর্বপ্রথম সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয় সহ তার অধীনস্থ সমস্ত ডিগ্রী কলেজগুলোতে করোনা পরিস্থিতিতে সেমিস্টার ফী মুকুব করতে বাধ্য হয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, অভাব গ্রস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের মোবাইল / ট্যাব বিলি করতে ও ইন্টারনেট এর ভর্তুকি দিতে। ডিজিটাল ডিভাইডকে ঠেকাতে অনলাইন ক্লাসের বিকল্প মাধ্যম কে সামনে রেখে জেলা জুড়ে চলছে একাধিক ফ্রি কোচিং সেন্টার। ইতিমধ্যেই, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কুড়মালিতে স্নাতকোত্তর বিভাগ খোলার আমাদের দাবিকে প্রাথমিক স্বীকৃতি দিয়েছে। আগামী দিনে, এই দাবিগুলি কে সামনে রেখে আমাদের লড়াই আরো তীব্রতর হবে। ভারতের ছাত্র ফেডারেশনের ২০ তম পুরুলিয়া জেলা সম্মেলন ছাত্র-ছাত্রীদের আদর্শগত সংগ্রাম তীব্র করার মধ্য দিয়ে এবং শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে আগামী দিনে সংগঠনকে একটি নতুন গতিপথ দেবে। গতকাল একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান SFI এর রাজ্য সম্পাদক প্রতিকুর রহমান।