জঙ্গলমহলে চার জেলা থেকে প্রাক্তন মাওবাদী ২২০ জন জনকে চাকরি দিল রাজ্য সরকার
JJM NEWS DESK : জেল খেটেছেন কেউ, কেউ বা সারেন্ডার করেছেন সমাজে অন্য সাধারণ মানুষের মতোই নতুন করে নিজের জীবন গুছিয়ে নেওয়ার জন্য। তাদেরও ইচ্ছে করে সমাজের একজন সাধারন মানুষ হয়ে নিজেদের পরিচয় দিতে।
রাজ্যের ৪ জেলা পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর (Mednipur), বাঁকুড়া (Bankura) ও ঝাড়গ্রাম (Jhargram) এর ২২০ জন প্রাক্তন মাওবাদীদের হাতে পুলিশের চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হলো আজ জেলায় জেলায়। চার জেলা থেকে যে ২২০ জন প্রাক্তন মাওবাদী সদস্য চাকরি পেয়েছেন, তার মধ্যে সবথেকে বেশি চাকরি পেয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা থেকে।
এই জেলা থেকে মোট ১১০ জন কে সরকারি হোম গার্ডের চাকরি দেওয়া হয়েছে। এর পরবর্তী যে জেলা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, তা হলো ঝাড়গ্রাম। এখানে চাকরি মিলেছে ৮০ জনের। পুরুলিয়া থেকে চাকরি মিলেছে ১৯জনের এবং বাঁকুড়া থেকে চাকরি মিলেছে ১১ জনের।
রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে ,পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা থেকে যে প্রাক্তন ১১০ জন মাওবাদী সদস্য চাকরি পেয়েছেন, তার মধ্যে ১০৪ জন হলেন পুরুষ এবং বাকি ৬জন হলেন মহিলা। ঝাড়গ্রামে যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের মধ্যে ৬৮ জন হলেন পুরুষ এবং ১২ জন হলেন মহিলা।
পুরুলিয়া জেলায় ১৯ জন চাকরি পেয়েছেন, তার মধ্যে ১৫ জন হলেন পুরুষ ৪জন হলেন মহিলা বাঁকুড়া জেলায় যে ১১ জন চাকরি পেয়েছেন তার মধ্যে ১০ জন পুরুষ ১জন মহিলা। এরা সকলেই স্পেশাল হোম গার্ডের চাকরিতে বহাল হওয়ার দরুন এখন থেকে মাসিক ১৭০০০ টাকা করে বেতন পাবেন।
রাজ্য সরকারের সেই সিদ্ধান্ত মতোই ১৯ জন প্রাক্তন আত্মসমর্পণ কারী মাওবাদী (Mao) সহ মোট ৭৯জন চাকরি পেল পুলিশে (Police)। ১২ মহিলা ও ছিলেন সেই তালিকাভুক্ত। সকলের নিজ নিজ জেলা থেকে ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলো। নেতাজী ইন্ডোর থেকে মুখ্যমন্ত্রী ভার্চুয়াল সভার মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানে র সূচনা করেন।
চার জেলার এস.পি (Sp) ও জেলাশাসক রা নিয়োগ পত্র তুলে দিলেন প্রাক্তন মাওবাদীদের (Mao) হাতে। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে জেলার প্রাক্তন মাওবাদীরা আন্দোলন নেমেছিল তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে ঝাড়গ্রাম জেলা সহ বেশ কিছু জেলায় বিক্ষোভ দেখিয়ে ছিল জেলা শাসকের কাছে প্রাক্তন মাওবাদীরা।
চাকরি পেয়ে খুশি প্রাক্তন মাওবাদীরা। আগামি কাল থেকে বিভিন্ন থানায় ট্রেনিং শুরু হবে বলে জানান পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ ঘোষ। তারা তাদের নাম প্রকাশের ইচ্ছুক না থাকলেও তাদের আনন্দ এবং নতুন করে জীবন ফিরে পাওয়ার সেই মুখ ভঙ্গি দেখে পরিবারের অনেকেই চোখের জল ফেলেছেন। নতুন এই পরিচয় পেয়ে একজন বলেন,“কেমন লাগছে, তা সত্যিই বলার ভাষা নেই।